সংঘাতের শিকড় খুঁজতে এবং তা মোকাবিলা করতে পিসবিল্ডিং কমিশন ও পিসবিল্ডিং ফান্ড এর কোন বিকল্প নেই – জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন

নিউইয়র্ক, ২৪ মে ২০১৮:

“সংঘাতের শিকড় খুঁজতে এবং তা মোকাবিলা করতে পিসবিল্ডিং কমিশন ও পিসবিল্ডিং ফান্ড এর কোন বিকল্প নেই আর এ কারণেই এই ফান্ডে যথাসম্ভব সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে” – আজ জাতিসংঘ সদরদপ্তরে পিসবিল্ডিং কমিশন (পিবিসি) এবং পিসবিল্ডিং ফান্ড (পিবিএফ) বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রদত্ত রিপোর্টের উপর অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

তিনি আরও বলেন, “টেকসই শান্তি বিনির্মাণে প্রত্যেক দেশ ও সমাজেরই নিজস্ব ভাবধারা ও পদক্ষেপ গ্রহণে দৃঢ়সংকল্প হওয়া উচিত। আর এ বিষয়টি গভীরভাবে ধারণ করেই বাংলাদেশ সম্প্রতি টেকসই শান্তি বিনির্মাণ বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণের জন্য পিসবিল্ডিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে”।

রাষ্ট্রদূত মাসুদ তাঁর বক্তব্যে পিসবিল্ডিং কমিশন এবং পিসবিল্ডিং ফান্ড বিষয়ে বাংলাদেশের পাঁচটি দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ১) বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রদত্ত সুপারিশমালার বাস্তবায়নে পিসবিল্ডিং কমিশন আলোচনার পদক্ষেপ নিবে এবং তা ত্বরান্বিত করবে। ২) জাতিসংঘের শান্তি ও নিরাপত্তার স্তম্ভ সংস্কার বিষয়ে মহাসচিবের সুপারিশ অনুযায়ী প্রস্তাবিত পলিটিক্যাল অ্যান্ড পিস বিল্ডিং সাপোর্ট বিভাগের আওতায় পিসবিল্ডিং সাপোর্ট অফিস (পিএসবিও) স্থাপন এবং এর জনবল ও অন্যান্য বিষয়াদির কার্যকর বাস্তবায়নে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৩) পিএসবিও শক্তিশালী করার পাশাপাশি ‘শান্তি বিনির্মাণ ও টেকসই শান্তি’বিষয়ক সাম্প্রতিক উচ্চ পর্যায়ের সভায় গৃহীত রেজুলেশনে অনুসৃত মহাসচিবের সুপারিশমালার বাস্তবায়ন ফলো-আপ করার প্রয়োজনে মহাসচিবের সরাসরি তত্বাবধানে একজন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। ৪) অর্থ, লিঙ্গ, যুব, প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণ এবং জাতীয় মালিকানার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ভিত্তিক আলোচনাকে অধিকতর অগ্রসর করতে পিসবিল্ডিং কমিশনের সভাপতিকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদানে কমিশনের সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে। ৫) পিসবিল্ডিং কমিশন ও পিসবিল্ডিং ফান্ড বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘স্বেচ্ছা অবদান’ ও ‘উদ্ভাবনী তহবিল’ সংক্রান্ত সুপারিশমালার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা অগ্রসর করতে আমরা পিসবিল্ডিং কমিশনসহ জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে উৎসাহিত করছি।

আজকের এই আলোচনা অনুষ্ঠান এবং গত এপ্রিল মাসের ২৪-২৫ তারিখে সফলতার সাথে ‘শান্তি বিনির্মাণ ও টেকসই শান্তি’ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সভার আয়োজন করার জন্য সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

***