শেখ হাসিনা সরকার গৃহীত রূপকল্পসমূহ আমাদেরকে অভাব ও নির্ভয় সমাজ বিনির্মাণে পথ দেখায় -জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন

নিউইয়র্ক, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ :

“শেখ হাসিনা সরকার সর্বদাই জনগণ ও মানবাধিকারকে বাংলাদেশের উন্নয়ন দর্শনের কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সুনির্দিষ্টভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন লক্ষ্য রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ আমাদেরকে এমন একটি সমাজ বিনির্মাণের পথ দেখায় যে সমাজ থাকবে ভয় এবং অভাব থেকে মুক্ত” -আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা ও অগ্রগতি সাধনের লক্ষ্যে ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সমাজের অঙ্গসমূহের অধিকার ও দায়িত্বের প্রতি বৈশ্বিক ষোষণাপত্র গ্রহণের ২০তম বার্ষিকী’উপলক্ষে প্রদত্ত বক্তব্যে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

তিনি বলেন, “অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সত্ত্বেও বহুপক্ষবাদ এখনও আমাদের সর্বোচ্চ প্রত্যাশার জায়গা বিশেষ করে এক্ষেত্রে যখন মানবাধিকার সমুন্নত রাখার প্রশ্ন আসে। আর জাতিসংঘ হচ্ছে বহুপক্ষবাদ ও মানবাধিকারকে এগিয়ে নেওয়ার সর্বোত্তম মঞ্চ”। বহুপক্ষবাদ ও মানবাধিকারের প্রতি পূর্ণ আস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রতিশ্রুতি থাকার কারণেই বাংলাদেশ দশ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় দিয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বপ্রণোদিত, নিরাপত্তাপূর্ণ ও মর্যাদাশীল স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে”।

মানবাধিকারের বৈশ্বিক ঘোষণার ৭০তম বার্ষিকী ও ভিয়েনা ঘোষনার ২৫তম বার্ষিকী উদযাপনকালে অনুষ্ঠিত আজকের এই উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত মাসুদ আরও বলেন, “জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের নব-নির্বাচিত সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সবসময়ই মানবাধিকার সুরক্ষায় সহযোগিতাপূর্ণ ও ক্রিয়াশীল ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।

***