নিউইয়র্ক, ০৭ মার্চ ২০১৯ :
আজ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ইউনেস্কো’র ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের উপর একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপস্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো: আরিফুল ইসলাম। অত:পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ভিডিওটি প্রদর্শন করা হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা পর্ব। জাতির পিতার ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণ একটি জাতিকে কীভাবে বজ্রকঠিন ঐক্যের পতাকাতলে সমবেত করে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণে উজ্জ্বীবিত করেছিল তা উঠে আসে আলোচকগণের বক্তব্যে। আলোচকগণ এই ভাষণের প্রেক্ষাপট, বিষয়বস্তু, সুদূর প্রসারী প্রভাবের উপরও আলোকপাত করেন। জাতির পিতার এই ভাষণে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য একজন সুযোগ্য রাষ্ট্রনায়কের সুচিন্তিত কৌশলের সবটুকুই প্রতিভাত হয়েছে মর্মে মন্তব্য করেন বক্তাগণ। ৭ই মার্চের ভাষণ যাতে সর্বদা দীপ্যমান থাকে এবং জাতির পিতার সম্মোহনী দরাজ কন্ঠ যাতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অনুরণিত হয় সেজন্য নতুন প্রজন্মকে ভাষণটি বার বার শোনানোর আহ্বান জানান আলোচকগণ।
বিশ্বসেরা ভাষণ নিয়ে লেখক ও ইতিহাসবিদ জ্যাকব এফ ফিল্ড রচিত ‘উই স্যাল ফাইট অন দ্যা বিচেজ্: দ্যা স্পীসেস দ্যাট ইন্স্পায়ার্ড হিস্ট্রি’গ্রন্থে স্থান পাওয়া জাতির পিতার এই ভাষণ সারাবিশ্বের মুক্তিকামী মানুষকে স্বাধীনতার পথে কীভাবে প্রভাবিত করে যাচ্ছে তাও উঠে আসে আলোচনায়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রমনার রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতার দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্ত করে।
আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতি এবং জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা, দু’লাখ নির্যাতিত মা-বোন ও ভাষা শহীদসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে দোয়া করা হয়।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মিশনের কাউন্সিলর মো: তৌফিকুর রহমান।
***
