বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকী – বঙ্গমাতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানালো জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন

নিউইয়র্ক, ০৮ আগস্ট ২০১৯ :

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানালো জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন। এ উপলক্ষে আজ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করে শোনান মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো: আরিফুল ইসলাম।

আলোচনা পর্বের শুরুতে মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন ও কর্ম এবং দেশ ও জাতিগঠনে তাঁর অসমান্য অবদানের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

তিনি বলেন,“বঙ্গমাতা ছিলেন জাতির পিতার রাজনৈতিক সাফল্যের অনন্য উৎস বিন্দু। তিনি একদিকে শক্তহাতে যেমন সংসার সামলিয়েছেন তেমনি অন্যদিকে আন্দোলন-সংগ্রামে জাতির পিতাকে উৎসাহ যুগিয়েছেন। তিনি প্রকৃতই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একজন সহযোদ্ধা ও বিশ্বস্ত সহচর”।

স্বাধীনতা সংগ্রামের বাঁকে বাঁকে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের পরামর্শ ও অবিচল মনোভাব মুক্তির আকাঙ্খায় জাগ্রত একটি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর সিদ্ধান্ত গ্রহণকে অনেক সময় সহজ করে ছিয়েছে মর্মে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, “বঙ্গমাতার আদর্শ যুগে যুগে কালে কালে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে”।

আলোচনা পর্বে মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন।

আলোচনা শেষে জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের বুলেটে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

***