জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশন পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলন – মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র বক্তব্য

নিউইয়র্ক, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ :

প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,

আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।

জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে গত ২২-এ সেপ্টেম্বর আমি নিউইয়র্ক আসি। মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী, মাননীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী, মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী, মাননীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, মাননীয় সংসদ সদস্যগণ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল এই অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন।

এবারের অধিবেশনে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল – জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানসম্মত শিক্ষা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়সমূহ। এছাড়া, সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট তথা এসডিজি ও সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়টিও এবারের অধিবেশনের অন্যতম আলোচিত বিষয় ছিল।

২৭-এ সেপ্টেম্বর আমি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বক্তৃতা করি। অন্যান্য বারের মত এবারও আমি বাংলায় বক্তব্য প্রদান করি। টানা তৃতীয় বার সরকার গঠনের পর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রণীত আমাদের ২১-দফা রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করি। বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয়গুলোও আমি তুলে ধরি। আমি আমার বক্তব্যে দারিদ্র্য দূরীকরণ, সামাজিক সুরক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের গৃহীত উদ্যোগ ও অর্জিত সাফল্যের বর্ণনা করেছি। এছাড়া, পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, জলবায়ূ পরিবর্তন, শান্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকা, জাতিসংঘ মহাসচিব কর্তৃক গৃহীত জাতিসংঘের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের বিষয়সমূহ আমার বক্তব্যে উঠে এসেছে।

উল্লেখ্য, এই অধিবেশন চলাকালে আমার নির্দেশনায় বাংলাদেশ পরমাণু অস্ত্র সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক চুক্তি অনুস্বাক্ষর এবং মানব পাচার সংক্রান্ত পালেরমো প্রোটোকলে অনুসমর্থণ করেছে। একই সঙ্গে আমি জাতিসংঘের সংস্কার কর্মসূচির অংশ হিসেবে নবগঠিত জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়ক ব্যবস্থার সংস্কারে গঠিত ফান্ডে অনুদান প্রদানের ঘোষণা দিয়েছি।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সকলকে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে আমি এ সমস্যা সমাধানে পুনরায় বেশকিছু প্রস্তাবনা পেশ করি। সর্বোপরি, একটি শান্তিপূর্ণ ও বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিতকরণে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সকল রাষ্ট্রকে একযোগে কাজ করে যাওয়ার জন্য আমি আমার বক্তব্যে আহ্বান জানাই।

২৩-এ সেপ্টেম্বর আমি স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ‘High Level Plenary on Universal Health Coverage’ সভার একটি প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করি। এই সভায় আমি সকলের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরি। স্বাস্থ্য খাতে আমাদের অসামান্য সাফল্য বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করি। এই প্যানেল আলোচনা ছাড়াও Universal Health Coverage বিষয়ক এই সভার মূল প্লেনারিতে আমি বক্তব্য প্রদান করি।

একই দিন আমি Climate Action Summit শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় অংশগ্রহণ করি। এই সভায় আমি জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বব্যাপী সাম্প্রতিক কালে সৃষ্ট সমস্যাবলীর কথা উল্লেখ করেছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির বিষয়গুলো উল্লেখপূর্বক ইতোমধ্যে গৃহীত ডেল্টাপ্লান-২১০০ সহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের সার্বিক কার্যক্রম ও পরিকল্পনা তুলে ধরি।

২৪-এ সেপ্টেম্বর আমি Global Commission on Adaptation – এর আয়োজনে একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে অংশগ্রহণ করি। এই সভায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট নানা সমস্যা এবং সকলের করণীয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি আমি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্বন নিঃসরণ শূণ্যে নামানোর উদ্যোগ গ্রহণ এবং ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া দেশগুলোতে পর্যাপ্ত অভিযোজনমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করেছি। ঢাকায় Global Commission on Adaptation – এর একটি আঞ্চলিক কেন্দ্রের উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়েছি।

২৪-এ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ এবং ওআইসি-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘Rohingya Crisis: A Way Forward’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের একটি সাইড ইভেন্টে আমি অংশগ্রহণ করি। এই ইভেন্টে ওআইসি-এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সভায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এবং ওআইসি’র মহাসচিবও বক্তৃতা করেন।

এ সভায় আমি নতুন করে আমার ৪-দফা প্রস্তাবনা পেশ করি যা পরবর্তীকালে সাধারণ বিতর্ক পর্বের বক্তৃতায়ও পুনরাবৃত্তি করেছি। আমার ৪-দফা প্রস্তাবসমূহ হচ্ছে:

১। রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসন এবং মিয়ানমারে তাদের আত্মীকরণে মিয়ানমারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পূর্ণ প্রতিফলন দেখাতে হবে।

২। বৈষম্যমূলক আইন ও রীতিসমূহ বিলোপ করে মিয়ানমারের প্রতি রোহিঙ্গাদের আস্থা তৈরি করতে হবে এবং রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের উত্তর রাখাইন সফরের আয়োজন করতে হবে।

৩। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে উত্তর রাখাইন রাজ্যে বেসামরিক পর্যবেক্ষক মোতায়েনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। এবং

৪। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবশ্যই রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণসমূহ বিবেচনায় আনতে হবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অন্যান্য নৃশংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে।

ঐদিন সন্ধ্যায় আমি মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে আয়োজিত ‘Leadership Matters- Relevance of Mahatma Gandhi in the Contemporary World’  শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে মূল আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ বেশ কয়েক জন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এতে অংশগ্রহণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহাত্মা গান্ধীর অহিংসনীতি ও আদর্শের বিষয়টি তুলে ধরে আমি শান্তিময় বিশ্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাই।

২৫-এ সেপ্টেম্বর আমি ‘‘Leader’s dialogue 4 on `Localizing the SDGs” শীর্ষক সভায় অংশগ্রহণ করি। আমি এবং ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে এই সভা পরিচালনা করেছি। এই সভায় আমি এসডিজি বাস্তবায়নে আমাদের অঙ্গীকার, চলমান কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসমূহ তুলে ধরি।

একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য Think Tank, Council on Foreign Relations (CFR) এর আমন্ত্রণে আমি এই সংস্থার সদস্যগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করি। আমি আমার বক্তব্যে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অভাবনীয় উন্নয়নের বর্ণনা প্রদানের পাশাপাশি, শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের অবদান, ডিজিটাল বাংলাদেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন ও রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করি। এ সময় আমি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সন্ত্রাসীদের অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার পাশাপাশি সকল আন্তর্জাতিক বিরোধ শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিষ্পত্তির আহ্বান জানাই।

২৫-এ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ বছর রোহিঙ্গা ইস্যুটি জাতিসংঘে বিশেষ প্রাধান্য পেয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুর উপর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মোট চারটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

২৬-এ সেপ্টেম্বর আমি US Chamber of Commerce আয়োজিত একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করি। বৈঠকে বাংলাদেশ হতে আগত ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যবসায়ীগণ এতে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আমি বাংলাদেশের বিদ্যমান ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।

২৭-এ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সূচনা ফাউন্ডেশন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফের সহযোগিতায় ‘‘Sustainable Universal Health Coverage: Comprehensive Primary care inclusive of mental health and disabilities” শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্ট আয়োজন করে।

এই অধিবেশনে আমার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণ করেন। এই সভায় স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের নানাবিধ উদ্যোগ তুলে ধরার পাশাপাশি, সকলের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রতিবন্ধীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে আমি তুলে ধরি। এছাড়া, আমি মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত করার সুবিধা নিয়ে আলোচনা করি।

ইভেন্টের দ্বিতীয় পর্বে সূচনা ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা মিজ সায়মা ওয়াজেদ হোসেইন-এর সঞ্চালনায় একটি বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের খ্যাতনামা জনস্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞগণ প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।

এবারের অধিবেশনকালে বিশ্ব সম্প্রদায় আমাকে দুটি আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত করে। ২৩-এ সেপ্টেম্বর Global Alliance for Vaccination and Immunization (GAVI), বর্তমানে GAVI-The Vaccine Alliance  নামে পরিচিত সংস্থাটি সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ আমাকে ‘Vaccine Hero’ সম্মাননা প্রদান করে। আমি বাংলাদেশের জনগণ বিশেষ করে স্বাস্থ্যখাত সংশ্লিষ্ট সকলের পক্ষে এই সম্মাননা গ্রহণ করি।

২৬-এ সেপ্টেম্বর UNICEF এক অনুষ্ঠানে আমাকে ‘Champion of the skill development for the Youth’ সম্মাননা প্রদান করে। UNICEF এর নির্বাহী পরিচালক Ms. Henerieta Fore আমার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন। বাংলাদেশের সকল নাগরিক ও শিশুসহ বিশ্বের সকল শিশুর উদ্দেশ্যে আমি এই সম্মাননা উৎসর্গ করেছি।

এবারের অধিবেশন চলাকালে আমি মোট ৯টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেই। তাঁরা হলেন জাতিসংঘের মহাসচিবের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক বিশেষ এডভোকেট Queen Maxima of Netherlands, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী Mr. Prayut Chan-o-cha, এক্সনম বিল এল এন জি মার্কেট ডেভেলপমেন্ট এর চেয়ারম্যান Mr. Alex V. Volkov, গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের সভাপতি Ms. Irina Bokova, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চীফ প্রসিকিউটর Ms. Fatou Bensouda, বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান Mr. Bill Gates, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার Mr. Filippo Grandi, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জাতিসংঘের মহাসচিব Antonio Guterres ।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে বিভিন্ন সভায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি আমি জাতিসংঘ মহাসচিব কর্তৃক সকল দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানগণের সম্মানে আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নিয়েছি। এসময় আমার সঙ্গে একই টেবিলে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেল। এছাড়া আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আয়োজিত অভ্যর্থনায় অংশগ্রহণ করি।

প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাংলাদেশীদের একটি সংবর্ধনা সভায় অংশগ্রহণ করেছি।

২৫-এ সেপ্টেম্বর Wall Street Journal, ২৭-এ সেপ্টেম্বর The Washington Post এবং আজ Voice of America -র বাংলা সার্ভিস আমার সাক্ষাতকার গ্রহণ করে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সক্রিয় অংশগ্রহণ বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ়করণ এবং বাংলাদেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃৃত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

সবাইকে ধন্যবাদ।

খোদা হাফেজ।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

***