ইংরেজি নববর্ষ ২০২১ উপলক্ষ্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধির শুভেচ্ছা বার্তা

ইংরেজি নববর্ষ ২০২১ উপলক্ষ্যে আমি নিউইয়র্কে বসবাসরত সকল প্রবাসী বাংলাদেশি ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বিগত বছর সারাবিশ্ব কোভিড-১৯ অতিমারিজনিত ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে যা এখনও বর্তমান। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অনেক প্রবাসী ভাই-বোনেরা অকালে মুত্যুবরণ করেছেন, আমি তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। পাশাপাশি যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁদের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করছি। আমার প্রত্যাশা, সকল দু:খ-বেদনা পিছনে ফেলে নতুন বছর আমাদের জন্য মঙ্গল বারতা নিয়ে আসবে।

২০২১ সাল আমাদের জাতীয় জীবনে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা এছর উদযাপন করতে যাচ্ছি মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, একইসাথে অব্যাহত রয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ধারাবাহিকতা। করোনা অতিমারির মধ্যেও ২০২০ সালে জাতিসংঘ তথা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের রয়েছে উল্লেখযোগ্য সফলতা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের সপ্তাহে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বশীল ভূমিকা বিশ্ববাসীর প্রশংসা পেয়েছে। বাংলাদেশ ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে এবং পরবর্তী একবছরের জন্য জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ তিনিটি সংস্থা ইউএনডিপি/ইউএনএফপিএ/ইউএনওপিএস এর নির্বাহী বোর্ডের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে।

কোভিড-১৯ এরফলে মুজিব বর্ষের পূর্ব-পরিকল্পিত অনেক কর্মসূচি আমরা সম্পন্ন করতে পারিনি তবে মিশনের প্রাঙ্গনে ‘বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জ’ উদ্বোধন করতে পেরেছি। জাতিসংঘ ২৯ মে ২০২০ তারিখে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শান্তিরক্ষীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের স্বীকৃতি স্বরূপ একসেট স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেছে। করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে আমাদের হাতে থাকা বাকী কর্মসূচিগুলো আপনাদের নিয়ে সম্পন্ন করতে পারবো বলে আশা প্রকাশ করছি।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে বিশ্ব পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। আমাদের মাথাপিছু আয় পাশ্ববর্তী অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবে রূপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্বে সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে আরও আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তাতে স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীগণ ভূমিকা রাখার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি। আসুন, আমরা প্রবাসে তথা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকাকে আরও উচ্চ আসনে তুলে ধরি। ২০২১ সালে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। সকলকে আবারও নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবি হোক।


( রাবাব ফাতিমা )
রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন