বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন; জাতির পিতার সকল সংগ্রাম ও সঙ্কটে বঙ্গমাতা ছিলেন এক অকুতোভয়, বিশ্বস্থ ও নির্ভিক সহযাত্রী -রাষ্ট্রদূত মুহিত

নিউইয়র্ক, ০৮ আগস্ট ২০২২:

 আজ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের বুলেটে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় অনুষ্ঠানের এ পর্বে।

আলোচনা পর্বের শুরুতে মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপনকে জীবন ও কর্ম এবং দেশ ও জাতিগঠনে তাঁর অসমান্য অবদানের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। দিবসটির প্রতিপাদ্য – “মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা; অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা”উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, “বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব শুধু জাতির পিতার সহধর্মীনিই ছিলেন না, তিনি ছিলেন জাতির পিতার সুদীর্ঘ সংগ্রামে ও সকল সঙ্কটে এক অকুতোভয়, বিশ্বস্থ ও নির্ভিক সহযাত্রী”। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধুকে মনের কথা তুলে ধরতে পরামর্শ দিয়েছিলেন বঙ্গমাতা।

বঙ্গমাতা কীভাবে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দলীয় কর্মকান্ড সচল রাখতে ভূমিকা রেখেছেন, কীভাবে অবলীলায় দলীয় কর্মী এবং দলের প্রয়োজনে তাঁর সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করেছেন; রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধুকে অটল থাকতে কীভাবে সাহস যুগিয়েছেন, অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেও হাসিমূখে কীভাবে সংসার আগলে রেখেছেন, ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে কিভাবে নির্লোভ ও সাধাসিধে জীবন যাপন করেছেন তার নানা দিক উঠে আসে স্থায়ী প্রতিনিধির বক্তব্যে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, উদারতা, মানবিক হৃদয় এবং সাদামাঠা জীবন যাপনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “বঙ্গমাতার আদর্শ থেকেই এমন গুনাবলী অর্জন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী”। বাংলাদেশের নারীরা বঙ্গমাতার জীবনাদর্শ ও মুল্যবোধে উজ্জীবিত দেশ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখবে মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত।

উন্মুক্ত আলোচনায় মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন। আলোচকগণ বঙ্গমাতাকে জাতির পিতার রাজনৈতিক সাফল্যের অনন্য উৎস বিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করেন। সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পরতে পরতে বঙ্গমাতার ভূমিকা এবং তাঁর আদর্শ যুগে যুগে কালে কালে বাঙালি নারীদের জন্য আলোর দীপ শিখা হয়ে অনুপ্রেরণা যোগাবে মর্মে উল্লেখ করেন আলোচকগণ।

***