নিউইয়র্ক, ৩০ নভেম্বর ২০১৮ :
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও এর জনগণের স্থায়ী শান্তির জন্য ফিলিস্তিন প্রশ্নে জাতিসংঘ গৃহীত রেজুলেশন, রোডম্যাপ ও আরব শান্তি পরিকল্পনার বাস্তবায়ন; চতুর্পক্ষীয় অর্থাৎ জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও রাশিয়া গৃহীত প্রচেষ্ঠাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান এবং আগ্রাসী শক্তির অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার ঘৃণ্য সংস্কৃতি বন্ধে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানালো বাংলাদেশ। আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনি এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক রেজুলেশনসমূহের উপর অনুষ্ঠিত সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য প্রদানকালে একথা বলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো: আরিফুল ইসলাম। ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথাও জানান তিনি।
ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী উদ্বৃত করে উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “আমরা অবশ্যই শান্তির আশাকে ক্ষীণ হতে দিতে পারি না। আমি বিশ্বাস করি অবশ্যই আর কোনো বিলম্ব ছাড়াই আমরা শান্তি প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করতে পারবো। আমি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে হাতে হাত রেখে একসাথে কাজ করি যাতে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য একটি স্বাধীন স্বদেশভূমি প্রতিষ্ঠিত হয় যেখানে তারা প্রতিবেশিদের পাশাপাশি শান্তি ও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করতে পারে”। ফিলিস্তিন প্রশ্নের সমাধানে ওআইসি’র সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ সবসময়ই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে মর্মে জানান তিনি।
অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি ও অবিলম্বে অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধ, গাজা উপত্যকায় অবরোধ উঠিয়ে নেওয়া এবং সব ধরণের আগ্রাসন ও সহিংসতা বন্ধে ইসরাইলের উপর চাপ প্রয়োগ করার জন্য সাধারণ পরিষদকে আহ্বান জানায় উপস্থায়ী প্রতিনিধি। ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য জাতিসংঘের রিলিফ সংস্থার তহবিল আরও সমৃদ্ধ ও টেকসই করা এবং অনতিবিলম্বে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
***