নিরাপত্তা পরিষদে ‘যুব, শান্তি এবং নিরাপত্তা’বিষয়ক উন্মুক্ত আলোচনা – প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আমাদের যুব সম্প্রদায়কে ‘পরিবর্তনের প্রকৃত ধারক’-এ পরিণত করছে -জাতিসংঘে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার

নিউইয়র্ক, ২৩ এপ্রিল ২০১৮:

“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আমাদের যুব সম্প্রদায়কে ‘পরিবর্তনের প্রকৃত ধারক’-এ পরিণত করছে। দেশে শান্তি বিনির্মাণ ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তরুনদের প্রতিনিধিত্বশীল ভূমিকাকে আরও এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর একারণেই তিনি ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’এর ছায়াতলে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতি গড়ার রূপকল্প গ্রহণ করেছেন যা যুবদের সামর্থ্য বহুগুণে বাড়িয়েছে এবং তাদেরকে সঙ্কট মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস যুগিয়েছে” -আজ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘যুব, শান্তি এবং নিরাপত্তা’বিষয়ক উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান।

বিশাল যুব জনসংখ্যা বাংলাদেশকে একটি তারুণ্য প্রধান দেশে পরিণত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা যুবদের থেকে জনমিতিক লভ্যাংশ পাচ্ছি এবং ২০৩৫ সাল পর্যন্ত এই জনমিতিক লভ্যাংশ গ্রহণের সুস্পষ্ট সুযোগ রয়েছে”। ‘জাতীয় উন্নয়নে কোন যুবই যাতে বাদ না পড়ে’-এই মর্মবানী ধারণ করে গত বছর বাংলাদেশ সরকার যুব উন্নয়ন নীতিমালা হালনাগাদ করেছে বলে উল্লেখ করেন জেনারেল মাহফুজুর রহমান।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের যুব পুরুষ ও যুব নারীরা অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে জাতীয় জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই তাদের পদচিহ্ন রেখেছে। বাঙালি জাতির ঔপনিবেশিকতা বিরোধী এবং স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বদানের গর্বিত অংশীদার আমাদের এই যুবসমাজ”।

বাংলাদেশের তরুনেরা দারিদ্র্য-বিমোচন, জলবায়ুর পরিবর্তনের মত বিভিন্ন সামাজিক কাজ থেকে শুরু করে উগ্র মৌলাবাদ ও ঘৃণ্য অপরাধ প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে মর্মে জানান জেনারেল মাহফুজুর রহমান।

তিনি বলেন, তরুনদের মাঝে শান্তির-সংস্কৃতি প্রোথিত করতে এবং উন্নত চিন্তা-ভাবনা সৃষ্টি করতে সরকার যুগোপযুগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে। দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য তাদেরকে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর তরুন সদস্যগণ বৈশ্বিক শান্তিরক্ষায় ধারাবাহিকভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন সৃষ্টি করে যাচ্ছে মর্মে উল্লেখ করেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার।

তিনি বলেন, “যুব-সম্প্রদায়ের জন্য বিনিয়োগ যে কোন বিনিয়োগের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। শুধু জাতীয় পর্যায়েই নয় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের জন্যও যুব-কেন্দ্রিক ও যুব-নেতৃত্বাধীন পদক্ষেপসমূহে বিনিয়োগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ”।

নিরাপত্তা পরিষদের চলতি মে মাসের সভাপতি পেরু এই ইভেন্টির আয়োজন করে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের বাইরে প্রায় ৫৮টি দেশ এই সভায় বক্তব্য প্রদান করে।

***