জাতিসংঘে ‘সুরক্ষাবিধানের দায়িত্ব এবং গণহত্যা প্রতিরোধ, জাতিগত নির্মূল, যুদ্ধপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’বিষয়ক উন্মুক্ত আলোচনা মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চাইলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধি

নিউইয়র্ক, ০২ জুলাই ২০১৮:

আজ জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘সুরক্ষাবিধানের দায়িত্ব এবং গণহত্যা প্রতিরোধ, জাতিগত নির্মূল, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’বিষয়ক এক উন্মুক্ত আলোচনায় (Open Debate on The Responsibility to Protect and the Prevention of Genocides, Ethnic Cleansing, War Crimes and Crimes Against Humanity) অংশ নিয়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চাইলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো: আরিফুল ইসলাম। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এই উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে।

তিনি জাতিগত নির্মূল, গণহত্যা ও সহিংসতা প্রসঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করে বলেন, “এই সহিংসতা এবং এই সঙ্কটের ব্যাপকতা বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে”।

চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তাঁর বক্তব্যে রাখাইন প্রদেশে জাতিসংঘের সম্পৃক্ততার সাম্প্রতিক যে সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে তা বাদবাকী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর পুনরায় যে কোন সহিংসতা প্রতিরোধ এবং বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে বা তাদের পছন্দনীয় কোন স্থানে স্ব-প্রণোদিত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে সহায়ক হবে মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে যে ‘সেফ জোন’(Safe zone) তৈরির কথা বলেছিলেন তা পুন:উল্লেখ করেন উপস্থায়ী প্রতিনিধি।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদানের অংশ হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে টেকসই ও অগ্রগতিশীল প্রচেষ্টার সাথে মিল রেখে বাংলাদেশ সবসময়ই আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার আইন সমুন্নত রাখবে মর্মে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স। গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক জাতিসংঘ কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধি’র (Rome Statute) সার্বজনীনীকরণে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

বিশ্ব সম্মেলন ২০০৫-এ ঘোষিত ও গৃহীত ‘সুরক্ষাবিধানের দায়িত্ব (The Responsibility to Protect) নীতিমালার প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন উপস্থায়ী প্রতিনিধি।

***