নিজ ভূমিতে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে আস্থার পরিবেশ বিনির্মাণে পদক্ষেপ নিতে হবে -জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন

নিউইয়র্ক, ০২ নভেম্বর ২০১৮ :

“নিজ ভূমিতে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আস্থার পরিবেশ বিনির্মাণে পদক্ষেপ নিতে হবে, যা ছাড়া প্রত্যাবাসন টেকসই হওয়া সম্ভব নয়; আর এই আস্থা বিনির্মাণে রোহিঙ্গাদের উপর সংঘটিত ভয়াবহ সহিংসতার দায়বদ্ধতা নিরূপন নি:সন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ” -আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মানবাধিকার কাউন্সিলের রিপোর্টের উপর আয়োজিত এক সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। তিনি আরও বলেন,  দ্বিপাক্ষিক পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়নেও দায়বদ্ধতা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি সঠিকভাবে অনুসরণ করা উচিত।

পূনর্বারের মতো ২০১৯-২০২১ মেয়াদে বাংলাদেশের জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, “বর্তমান সরকারের মেয়াদে পর পর দুইবার এই কাউন্সিলে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া জনগণের অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টারই স্বীকৃতি। কাউন্সিলের এই নির্বাচনে এশিয়া প্রশান্ত গ্রুপ থেকে বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য সদস্যরাষ্ট্রসমূহকে ধন্যবাদ জানান স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বলেন, “মানবাধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ গৃহীত পদক্ষেপসমূহের বাস্তবায়ন এবং এই কাউন্সিলের উচ্চ উদ্দেশ্যসমূহকে সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।

মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর) এর বিষয়ে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “আমরা গত মে মাসে এই রিভিউ শেষ করেছি। রিভিউতে, মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে আমাদের উত্তম অনুশীলনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়”।

মানবাধিকার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে আগামী দিনগুলোতে কাউন্সিলের সকল গঠনমূলক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে মর্মে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ।

একই দিনে মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট উত্থাপিত রিপোর্টের কারিগরি বিষয়ে তৃতীয় কমিটির আওতায় আয়োজিত আরেকটি সভায়ও বক্তব্য প্রদান করেন স্থায়ী প্রতিনিধি।

***