নিউইয়র্ক, ১৬ জুলাই ২০১৮ :
এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর ঝুঁকি মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে সকল উন্নয়ন ও বানিজ্য অংশীদারসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি এই দেশগুলোর উত্তরণ পরবর্তী সঙ্কটগুলোকে টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডার মূলস্রোতে আনারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আরও বেশী বৈশ্বিক সহায়তার প্রয়োজন”। উল্লেখ্য আজ (১৬ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া জাতিসংঘের চলতি হাই-লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম (এইচএলপিএফ) এর মন্ত্রী পর্যায়ের পর্বের সূচনা অংশে যোগ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক সাধারণ আলোচনায় প্রদত্ত বক্তৃতায় এসকল কথা বলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।
এইচএলপিএফ এর মন্ত্রী পর্যায়ের পর্বের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মিরোস্লাভ লাইচ্যাক (Miroslav Lajčák), ইকোসকের সভাপতি মারিয়া চ্যাটারডোভা (Marie Chatardová), জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা মোহাম্মদ (Amina J. Mohammed), জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভাগের (UN- DESA) আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লিউ জেনমিন (Liu Zhenmin)।
বৈশ্বিক মানদন্ডের বিচারে এসডিজি-৬, ৭, ১৭ সহ এসডিজি’র অন্যান্য লক্ষ্যগুলোতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্জনের যে ব্যাপক ব্যবধান রয়েছে তা উল্লেখ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী। এ প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, “আমি বৈশ্বিক অর্থনীতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সম্প্রতি আইএমএফ বৈশ্বিক ঋণের দ্রুত বৃদ্ধির বিষয়েও তাদের গভীর উদ্বেগের সাথে কথা জানিয়েছে। এই ঋণের পরিমান ১৬৪ ট্রিলিয়ন ডলার যা মোট বিশ্ব জিডিপি’র ২২৫%। গত দু’বছরে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে এই ঋণ বেড়েছে দ্বিগুণ হারে। এসকল কারনে অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন এখন নানা সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। আমরা লক্ষ্য করছি, কিছু দেশে বিশেষ করে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অন্তর্মূখী দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিশ্বায়ন বিমূখী চিন্তাধারা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরফলে স্বল্পোন্নত দেশগুলো বিভিন্ন দিক থেকে তীব্র হুমকির মুখে পড়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ঋণের বোঝা বৃদ্ধি, ওডিএ থেকে অপ্রতুল প্রাপ্তি এবং বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণে নানাবিধ বাধা”।
প্রযুক্তিগত ব্যবধান হ্রাসে এলডিসির জন্য সদ্য প্রতিষ্ঠিত টেকনোলজি ব্যাংকে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের পুন: আহ্বান জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী। উল্লেখ্য আগামী ১৮ জুলাই মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণার মধ্য দিয়ে এবারের এইচএলপিএফ শেষ হবে।
***